ঝড় বৃষ্টির গভীর এক রাতের ঘটনা।
ইচ্ছে করে ঘরের বাতিটা নিভিয়ে দিলাম,
ঘরটা পুরোপুরি অন্ধকার,
ড্রেসিংটেবিলের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম।
আয়নায় নিজেকে আবছা আবিষ্কার করলাম,
তবে অচেনা লাগে খানিকটা নিজেকে চিনি বা চিনি না এরকম।
কিছুক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে চোখদুটো গভীর করে ভালো ভাবে দেখার চেষ্টা করছি।
সত্যি বলতে আসল রূপ চেহারা কিছু দেখা যায় না শুধু একটা ছায়া অনুভব করি।
নিজের ছায়া দেখে কেনো জানি ভয় লাগে,
চোখ বন্ধ করে বসে পড়ি মেঝেতে।
নিজের একটা হাত অন্য হাতে লাগলো
শরীর ঝমঝম করে উঠলো।
ভয়ে পুরো শরীর কাঁপছে, আমি ঘেমে অস্হির।
আমি বাবা মাকে জোরে জোরে ডাকছি পাশের ঘরে থাকা সত্বেও কেউ একটা ডাক ও শুনতে পারলো না।
আমি চোখ জোড়া খুলতে সাহস পেলাম না।
সাহস পেলাম না ঘরের বাতি জ্বালাতে।
চোখ বন্ধ করেই চিৎকার করে কান্নাকাটি করছি,
আমার কান্নাও কেউ শুনতে পারছে না।
নিজেকে বড্ড অসহায় লাগছে।
এভাবে কতক্ষণ কেটে গেলো তার হিসাব নেই।
বার বার কবরের কথা মনে হতে লাগলো-
ভাবলাম দুনিয়ায় বেঁচে থাকতে নিজের ছবি আয়নায় দেখেই ভয় পেলাম,
শরীরের শক্তি দিয়ে ঘরের বাতি জ্বালাতে সাহস পায়নি,
বাবা মা পাশের ঘরে থাকা সত্বেও তাদের সাহায্য পায়নি।
আর মরার পরে কবরের জীবন না জানি কত কঠিন তা কল্পনার বাইরে।
এভাবে কেটে গেলো অনেকক্ষণ,ফজরের আযান কানে এলো।হঠাৎ করে পরিবেশটা স্বাভাবিক হয়ে গেলো।
আমি ওযু করে নামায আদায় করে নিলাম।
বাবা মা খানিকটা অবাক হলেন।
বললেন আলহামদুলিল্লাহ আমার সন্তান জীবনের প্রথম আজ নামায আদায় করলো,আমরা এতে ভীষণ খুশি।
তুমি এভাবেই থেকো ইসলামের পথে।
আমি শুধু একটা কথায় বললাম -
মা আমি আধারে আলোর খোঁজ পেয়েছি।
সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: আহমেদ হোসাইন ছানু। উপদেষ্টা সম্পাদক: মোঃ রহমত আলী। উপদেষ্টা: মোঃ জাবেদুল ইসলাম। সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ রেজন মিয়া। কার্যালয়: উত্তর উল্যা, ভরতখালী, সাঘাটা, গাইবান্ধা, বাংলাদেশ। মোবাইল: 017013680087