ধীরেন্দ্র কুমার দেবনাথ শ্যামল
সভ্যগণ বসে আছে মধুর আড্ডার সনে
এরিমধ্যে বারতা এলো বিষাদ সিন্ধু মনে।
হঠাৎ করে পুর্ব আকাশে মেঘ জমে গেল
ব্রজপাতের নিষাদ ডাকে পাগলা ঝড়ো এল।
মনের সমুদ্রে ঝড় উঠেছে মহা বিপদ সংকেত দশ
পাগলা হাওয়া বয়ে চলে মন নাহি মানে বশ।
মনের অজান্তে কত কথা বলে উঠে মনে
সারি বেঁধে, দল বেঁধে নানা বারতা সনে।
হেসে হেসে বলে কথা চিন্তা নেই মনে
নিজের বারতা নিজেই জানায় অতি সঙ্গোপনে।
নিজের ঢোল নিজেই বাজাও এ কথা সবাই জানে
অন্যের পিরিস্তি গাইতে কেন আনন্দিত মনে।
অন্যের গান গাইতে ভারি মজা আছে
নিজের কথা লিখা আছে উপর ওয়ালার কাছে।
এসব চিন্তা মাথায় কভু আসে নাকি কারো
অযাজিত বারতা শুনার জন্য লোকজন হয় জড়ো।
অন্যের গিবত শুনতে মোরা অতি আনন্দ পাই
গ্রামে- গঞ্জে,হাট- বাজারে প্রচার করে যাই।
দশ নম্বর বিপদ সংকেত সব সময় কি থাকে?
আস্তে আস্তে অন্ধকার আলোর সাথে মাখে।
চায়ের কাপে ঝড় উঠেছে বইছে বাতাস মন্ধা
গিবত গেয়ে বেড়ায় ওরা সকাল,বিকাল,সন্ধ্যা।
কাজ,কাম নেইকো ওদের শুধু সময় পার
সুস্থ্য জীবন গড়তে হলে সুস্থ্য মন দরকার।