সুন্দর স্নিগ্ধ সুবাস ছড়ানো পৃথিবীর মাঠ থেকে,
আমি ও একদিন চিরতরের জন্য কবরে পাড়ি জমাবো।
তখন আমি আর দেখবো নাকো____
নক্ষত্রের ছায়া তলে মৃত্তিকার মাঠ, কার্তিকের সুফলা-সুজলা সোনালী ধানের ছড়াগুলি।
ধূসর গগনে উড়ে চলা ধবল বক, শঙ্খ শালিক, অতীতি পাখিদের ঝাঁক_ অকৃত্রিম লাবণ্যময় দৃশ্য।
আমি আর শুনবো নাকো_____
হিংস্র ঝড়-তুফানের খিলখিল হাসি,
প্রভাতের আগমনে ভোরের পাখিদের কলরব,
আঁতকে উঠা খ্যাঁক শিয়ালের অজস্র বিক্ষোভ।
সুরেলা কণ্ঠে বসন্ত কোকিলের আলতো মাখা গান,
আকস্মিক চমকে উঠা লক্ষ্মী প্যাঁচার আহ্বান,
সমুদ্রের ঢেউ এ ঊর্মির অফুরন্ত কলতান।
পৃথিবীর পুষ্পিত অকৃত্রিমতার ভালোবাসার
বিরহে আমাকে কোনো একদিন ভোগতে হবে।
আমি কবর দেশে আগমন করার পরেও__
পৃথিবীতে নক্ষত্রের ঝিলমিলি আকাশ,
মহাবিশ্বে জ্যোতি ছড়ানো চাঁদ সূর্য ঠিকই থাকবে।
কেবল ধীরে ধীরে ধ্বংস হতে থাকবে–
জীবন্ত সবুজ-সোনালী ফসলের মাঠ গুলো।
আরো বিলুপ্ত হতে থাকবে– অরণ্যের পাহাড়
আমাজন জঙ্গল, সুন্দরবন, হিমালয় গুলো।
কোনোদিন দেখি’বা– পৃথিবীর মাঠ থেকে
সমগ্র প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ঐশ্বর্য নেইকো।
লক্ষ্মীপুর।