রাকিবুল ইসলাম রাহান
মিটিং হলো, সালিশ বসল—
প্রমাণ হাতে ভাই দাঁড়ায়, অথচ ন্যায় পলায়।
দরবারে মুখ খোলে না কেউ,
শব্দগুলো আজ যেন বিষণ্ন এক ঢেউ।
টিভির স্ক্রলে নামে তার নাম,
কিন্তু ঘরের কোণে কাঁদে এক মা—নিঃসঙ্গ, নির্বাক, নির্জন প্রাণ।
স্বামীহারা সেই জননী আজ ভয় পায় নিজের ছেলেকে,
যে ছেলে মাতাল বাইকে চড়ে চিৎকারে ভাসায় অন্ধকার।
"আমি কিছু নিইনি!" — বলে সে রাগে,
কিন্তু কাগজে, সাক্ষ্যে, স্পষ্টতা জেগে থাকে।
ভাই জানে, সে জানে সব,
তবুও পারে না কিছু—ক্ষমতার খাঁচায় সে আজ কেবলই এক নির্বাক সব।
মায়ের চোখের ঘুম নেই, ভাইয়ের চোখে জল,
ভালোবাসা ছিল যা, আজ তা নিঃশেষ, নিঃশেষ দগ্ধ অনল।
হায়রে সমাজ, কে বানালো এই নিয়ম?
যেখানে অন্যায় হেসে বলে—"তোর কিছু হবে না, ভাই, থাক চুপচাপ ক্রীতদাসের মতন।"
এই কি ছিল চাওয়া? এই কি ছিল ভবিষ্যৎ?
প্রতিটি কান্না, প্রতিটি ক্ষোভে আজ গাথা এক শূন্য আক্ষেপ।
রাগ জমে ছাই হয়ে যায়,
মায়া পুড়ে অশ্রুজলে ভাসে,
ভাইয়ের হৃদয় আজ মুখ থুবড়ে পড়ে,
যে সমাজ কেবল ক্ষমতাকেই চায়।
এই কবিতা নয় কেবল শব্দের জাল,
এ হৃদয়ের ধ্বনি, বিচারের আহ্বান, চেতনার গ্লানির চাল।
পাঠক, তুমি যদি পারো, শব্দে নয়—দেখো অন্তরে,
একটা মা কাঁদছে আজও,
একটা ভাই দাঁড়িয়ে আছে একা—
ন্যায়ের পথের মৃতপ্রায় প্রতিচ্ছবি হয়ে।
সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: আহমেদ হোসাইন ছানু। উপদেষ্টা সম্পাদক: মোঃ রহমত আলী। উপদেষ্টা: মোঃ জাবেদুল ইসলাম। সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ রেজন মিয়া। কার্যালয়: উত্তর উল্যা, ভরতখালী, সাঘাটা, গাইবান্ধা, বাংলাদেশ। মোবাইল: 017013680087