তুমি না হয় নিঃসীম আঁধারের মাঝে আলোর দিশারী হয়ে আমার স্বপ্নেই বেঁচে থেকো।
তুমি না হয় আবার নতুন করে একান্তই
আমার হয়ে এসো।
তুমি না হয় শুধু আমার জন্য তোমার জীবনের কিছুটা আশা যতন করে রেখো।
তুমি না হয় আবার কিছুটা স্বপন আমার জন্য মুঠো ভরে রেখো।
কান্না না হয় কিছু লুকিয়ে রেখো অতীব যতনে আমার লাগি।
মুছে দিব তা সযতনে আমার নঁকশি আঁকা রুমাল দিয়ে।
শেষ জীবনে সহায়হীন তুমি খুঁজবে সহায় যখন পাগলপ্রায় হয়ে।
হাঁতড়ে বেড়াবে অতীত স্মৃতি সুখের কিছু ছোঁয়া পেতে।
তোমার আকাশের মেঘমালা সরিয়ে আসব নিয়ে তখন স্নিগ্ধ রোদ্দুর,ঝলমলে আলো
তোমার বসুন্ধরা আলোকিত করতে।
তুমি না হয় তোমার চোখের কোণে জমিয়ে রেখো কিছু অশ্রু,
বিসর্জিত হবে যা আমার মরণকালে,
পড়বে তোমার কপল বেয়ে।
জুড়াব মোর তপ্ত দেহ,অতৃপ্ত আত্মা সেই অশ্রুজল গায়ে মেখে।
এখন আমার যৌবন,তোমারও তা।
ছুটছ তুমি ভবিষ্যৎ আলোর লোভে ভয়-ডরহীন দিক্বিদিক,নেই কোন পিছুটান।
আমিও সাধিনি বাঁধ তোমার অদম্য যাত্রাতে।
পড়ন্ত বিকেলের শাখাহীন বৃক্ষের ন্যায়,
ঠাঁই দাড়িয়ে রব নাঙ্গা সর্ব গায়।
তুমি না হয় সেই গাছের গোড়ায় পানি ঢেলে
আমায় একটু সতেজ করো।
তুমি না হয় আমার অন্তিম লগনেই ভালবেসো।
আমার মুখে হাসি ফোঁটানোর জন্য না হয়
একটু কলা করো।
শেষ বয়সে,বয়সের ভারে ন্যুজ হয়ে পড়া আমি যখন পাব না ঠাঁই আর কোথাও,
তুমি না হয় তখন আমার আশ্রয় হয়ে এসো,
তখন না হয় সব অহং ভূলে একটু ভালবেসো।
ভূলে যেতে বসা হাসিটাকে না হয় তুমিই আবার শিখিয়ে দিয়ে আমার ঠোঁটে লেপ্টে দিও।
সেই হাসির রাঙা রঙে তোমার ঠোঁট রাঙিয়ে নিও।
তুমিও যখন বৃদ্ধা হবে, অচল তোমার
শয়নের বিছানাটাও না হয় আমিই বিছিয়ে দেব।
বেলা শেষের ডাকে যখন তুমি
কাউকে পাবে না পাশে,
বলব আমি,ভয়গো কিসের?
আছি হয়ে সাথী সতত তোমার সাথে।
অবহেলার চাদরে মুড়িয়ে এতদিন যার ভালবাসাকে করেছ তাচ্ছিল্য অবজ্ঞাভরে,
আমি না হয় এখন এই বয়সে গলা ফাঁটিয়ে বলব (সেই আমি)-
“তোমায় অনেক ভালবাসি।”
সীতারাম পুর, রাজার হাট, যশোর সদর।