• সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ১১:১৯ অপরাহ্ন

কবিতা: পানসে প্রীতি

সম্পাদক ও প্রকাশক / ৩৪ Time View
Update : রবিবার, ১১ মে, ২০২৫

সাবিত রিজওয়ান

বাঁশের আড়ালে কেরে
আউআহ ধ্বনি পাচ্ছি ধিরে ধিরে,
এই পথ ধরে গিয়েছিলাম বন্ধুর বাড়ি পাইনি ত তার দেখা!
মুড়ায় কে সিগারেটের মোথা ফেলছে,
গন্ধ পাচ্ছি কেউ এখানে আছে
ঘুগরি চিঁচিঁ… বাজনা দিচ্ছে
কিন্তু এখানে ত আমি একা।
আমায় দেখে ব্যাঙ লাফ দিল,
উড়ে এসে ঘাড়ে প্রজাতি বসল
জেটি টিকটিক আওয়াজ তুলল।
উড়ে যাচ্ছে বনটিয়া,
কোকিল কইঞ্চা ধরছে আকঁড়িয়া।
গাঁয়ে যাওয়ার ক্ষুদ্র পথ এটা,
প্রায় দেড়শ বাঁশ নিয়ে এই থোপ
পথের কাছে দশ-বারোটা!
ভূত কি করছে ধুপধাপ?
তিনটি কুকুর এ পথ দিয়ে চলছে কোথা,
শিয়াল কি পড়ছে গীতা?
ধানের ভূই থেকে কী ফিসফিস করছে বেজি!
না তা ক্যামনে শব্দ করছে বিড়াল বুজি।
কীরে প্যাকেটে এটা কিসের কলার ছবি, নতুন ব্যান্ডের ম্যাচ এটা?
মাদকে কী সন্তোষ পায় ইয়ং জেনারেশন কটা!
মুক্ত অক্সিজেনের এভাবে হচ্ছে হ্রাস
অদৃশ্য কারাগারে বন্দী মানবতা, কবে তার খালাস।
ল্যাটার মাছতো আয়-য়ূহ করবে না,
এখানে কচ্ছপ আছে কি-না জানিনা;
যেহেতু এসেছিলাম সময় কাটাতে বন্ধুর বাড়ি!
যাব না কোথাও এখন যতক্ষণ সন্দেহ না মিটাতে পারি।
একটি বক উড়ে আসিল,
এদিকে মোরগ-মুরগি প্রতিধ্বনি দিল।
যা আছে কপালে একটু ভিতরে যাই,
গিয়ে দেখি একটি ছেলে ভিডিওর ধান্দায়!
ফুটে রয়েছে তার চেহারায় ভয়-খুশির বিস্ময়।
চারদিকে নজর দিচ্ছে আড়ায় কেউ ঢুকে নাকি,
এতক্ষণ শব্দ করছে এ কি?
বয়সে বুজি মোদের মত,
চোখে রয়েছে ঘুমের খত!
হয়তো রাতে কম ঘুমায়
সে আমায় দেখে আমায় বলল, কি চাই?’
ঝোপে কি যেন নড়ে আবার নিরব হলো,
আমি তাকে বললাম, ভাই এখানে কাঠবিড়ালি ছিলো!’
“এখানে নাই কোন কাঠবিড়ালি,
যেখান থেকে এসেছো চলে যাও সেখানে!”
“একটু ভিতরে যাব কাজ হলেই আসব চলি”
“এখন ঢুকা যাবে না অরণ্যে।”
লোকে বলে নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি সবার আকর্ষণ বেশি,
ছেলেটি যেহেতু ভিতরে যেতে নিষেধ করল তাই ঢুকে দেখতে হবে কীসের এত কষা-কষি।
“আমি গিয়েই ঘুরে আসব, তোমার কোন ক্ষতি করব না!”
সে তীক্ষ্ণ কন্ঠে বলছে, বলছি ত যাওয়া যাবেনা।’
“প্রসাব করতে যাইতে দেন”
“ভাই বিরক্ত করেন নাতো সেখানে বসাইছি ফাঁন।”
সে যত নিষেধ করছে ভিতরে না যেতে,
তত যেতে ইচ্ছে জাগে অন্তরেতে।
আমি বার বার যেতে চাইলে মোরে হুমকি দেয় সে মারের,
রহস্য আজ উদঘাটন করতে হবে দেখি কত সাহস তার।
আমি দুকদম এগোতে সে আমায় আঘাত করল কইঞ্চা দিয়ে,
লোহা দিয়ে লোহা কাটতে হয়! আমি অস্ত্র বানাইলাম কাঁচের বোতল ভাঙ্গিয়ে।
সে বলে উঠল, নবিনের গায়ে যদি পরে হাত
তোরে করব কপোকাত।’
ঝাপসা চোখে দেখছি আমি একটি ছেলে, একটি মেয়ে আড়া থেকে যাচ্ছে ছুটিয়া,
কি কারণ?
তাঁদেরকে ডাকার পরেও তাঁরা সাড়া নাহি দেন!
তাঁদের পিছু ছুটতে গিয়ে ধান ভূইয়ে গেলাম পরিয়া।
বাঁশের আড়া থেকে উধাও নবিন কঞ্চি পালোয়ান,
নজরে পড়ল ধান ভূইয়ে পড়ে রয়েছে রিফাতের মুঠোফোন।
তাহলে কী ছুটল রিফাত!
মেয়েটি কেন নিয়েছে তার সাথ।
দুজনে কোথায় গেলো এমন ভাবার সময় কে যেন আমায় লাথি দিয়ে আঘাত করিল,
চেয়ে দেখি রিফাত এসে আমায় থাপ্পড় মেরে ফোন নিয়ে উধাও হইল।
বুঝলাম না সে আমায় মারিল কেন,
বাড়িতে চলে গেলাম।
বিকালে দেখি মাতালে করে মাদকবিরোধী আন্দোলন,
কারো কাছে ট্যাটু হয়েছে নকশা
এ কেমন ফুল আর ভ্রমরের কানন।
মেথর টয়লেট সাফ করে বিধায় কেউ করতে চায় না সন্মান,
মেথর যদি তা সাফ না করত তবে পড়ে রইত গু-পেটের ময়লার উদ্যান।
এক মাস পরে একদিন এক গ্রামে শুভ সহ ঘুরতে গিয়ে এক বাড়িতে শুনি গুনগুন
তাসমিন নামের একটি মেয়ের বিয়ে হয়নি তবু বাচ্চা পেটে এমন,
কেন নোংরা কাজ দেখাচ্ছো প্রভূ আমার হয়না কেন মরন।
বুঝিনা সবাই আমায় কম-বেশি চিনে,
তবে কেন নাহি মানে?
তখনি শুভ’র কাছে থাকা আমার ফোনে চয়ন কল দিয়েছে,
শুভ তাকে বলল তুফান আমার সাথে রয়েছে।
তুফান নামটি শুনে এক ছেলে এসে আমায় বলল, আপনি কি নবিনকে চিনেন?’
“না, কিন্তু আমায় প্রশ্ন করলেন কেন?”
“আপনি কি তুফান?”
“হ্যা, তাতে কী সমস্যা বলেন!”
“সেদিন বাঁশের আড়ায় কী হয়েছিল বলতে পারো!”
“আপনি থেকে তুমি? আমি ইন্টারভিউ দিতে পারব না কারো।”
তাঁরা আমাদের তাঁদের আঙিনায় নিয়ে গেলো,
একটি মেয়ে ঘরের কোনে! আরে এটা না সেই মেয়েটা
ঝাপসা দেখেও বুঝতে পারলাম সেদিন বাঁশের থোপ থেকে যে আমায় দেখে দৌড়ে ছিলো।
শুভ বলল, কী ব্যাপার আমরা পথিক, আমাদের এখানে নিয়ে যে আসলেন!’
ছেলেটি আমায় বলল, মেয়েরা হলো মা-বোনের জাতি করিস তাদের ইজ্জতকে সন্মান।’
আমি বললাম, বুঝলাম না’
“বাঁশের আড়ায় কি করেছিস সেটা বল নইলে ছেড়ে দিব না।”
“বাহ্ উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে,
মেয়েটির কী দোষ ছিলনা!
সে দেখতে গেলো কেন বাসর ঘরে বিড়াল ক্যামনে মারে।”
শুভ বলল, এরা নিজের কলঙ্ক নিজে মাখে
বাঙালি মাংস বুঝেনা হাড্ডি জন্য চেয়ে থাকে।
হায় হায় কুত্তা বান,
করে নাকি সমাধান।’
আমি দোষ দিচ্ছি না সবার,
আপনি দোষ গায়ে মেখে নিলে সেটা আপনার ব্যাপার।
তোরা ধ্বংস করলি শিক্ষাটাকে,
পরকিয়া ছড়াই দিলি দিকবেদিকে।
এ জাতিটা পুরো উলঙ্গ,
বুঝেনা মানব সত্তা! বুঝে লাভ-ক্ষতির অংক।
তবে কী সেদিন তাসমিনের সাথে রিফাত ঝোপে ছিলো,
নবিন তখন কেন অরণ্যে ঢুকার নিষেধ করল!
কেন তারা আমায় দেখে নাহি থামলো,
তবে কি রিফাতের কারণে তাসমিন প্রেগন্যান্ট হইল?

Facebook Comments Box


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
bdit.com.bd