রকিবুল ইসলাম
মহারাণী তুমি! সাঁঝের বাঁতি!
ঊষার রাঙা আভা।
কভু তুমি আবার গোধূলি লগনে,
ঈষৎ আলোর রেখা।
মহারাণী তুমি! কাকডাকা ভোরে
কিঁচিরমিঁচির রবে আহারের সন্ধানে
পাখিদের গৃহত্যাগের মিছিল,
কখনো আবার তুমি নাড়ির টানে,
তাদের নীড়ে ফেরার আকূতি প্রবল।
মহারাণী তুমি! প্রকাশ্য দিবার আলোয়
সহাস্য মহিয়সী ললনার প্রাণচঞ্চল বিচরণ,
সেই তুমিই আবার রজনীর পিনপতন নীরবতায়
প্রগাঢ় অভিমানের দেয়াল ভেঙে শুধুই ভালবাসা-বাসিতে স্বীয় সত্ত্বাকে সঁপে দেওয়ার আবাহন।
মহারাণী তুমি! কভু প্রেমিকা, কভু স্ত্রীরূপী গৃহপরিচারিকা,
কখনো আবার তুমি অপার মহিমায় ভাস্বর মমতাময়ী-“মাতা!”
মহারাণী তুমি! নির্যাতিত, নিপীড়িত জাতির
নিগৃহীত, শৃঙ্খলিত জীবনাবসানের প্রেরণাদাত্রী আহ্বান,
কখনো তুমি আবার যুদ্ধবিদ্ধস্ত জাতির
সবকিছু গুছিয়ে আবার নতুন শুরুর প্রত্যয়।
মহারাণী তুমি! করতে পার শুধুই অবহেলা,
সেই তুমিই আবার উল্টো রথে চড়ে
মহাসুখে জ্বালাতে পার মঙ্গলদ্বীপ,
ভাসাতে পার আশার ভেলা।
মহারাণী তুমি! কভু প্রগাঢ় অভিমান,
কখনো বা আবার সবকিছু ভুলে
শুধুই ভালবাসা-বাসিতে হও মহীয়ান।