অথই নূরুল আমিন এর এক কুড়ি বাণী
১. আপনি দল যেটাই করেন। আরেক দলের সমর্থকরা আপনাকে হয়তো রাজাকার ,নয়তো স্বৈরাচার, নয়তো চাদাবাজ, ইত্যাদি ইত্যাদি গালাগালী করবেই।। এককথায় রাজনীতি করলেই গালী। এক দল অন্যদলকে গালী দিবেই। এটা কি কখনও সুন্দর দেখায়?
২. যেজন চোর সেজে চুরি করে, তাকে আমি ঘৃণা করি। কিন্তু তারচেয়েও বেশি ঘৃণা করি তাকে যেজন রাজনীতির নামে নেতা সেজে দিবালোকে চুরি করে।
৩. হীনমনা আত্মীয় গুলো বিষাক্ত সাপের চেয়েও ভয়ংকর।
৪. একজন প্রকৃত শুভাকাঙ্খী বন্ধু হাজারো স্বার্থপর আত্মীয়র চেয়ে অনেক গুণ বড়।
৫. অবিশ্বাস এমন একটি শব্দ। অবিশ্বাস সৃষ্টি হওয়ার পর, ওখানে নদী ভাঙ্গনের মত ঘটনা ঘটতে থাকবে, যতদিন স্থান পরিবর্তন করা না হয়। ততদিন পর্যন্ত।
৬. যারা প্রতারণা করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে। ওরা বনের হিংস্র প্রানীর চেয়েও ভয়ংকর হয়ে থাকে।
৭. বিষক্রিয়া একজন মানুষকে একবারে মেরে ফেলতে পারে। আর মানসিক যন্ত্রণা, না দেয় বাচতে না দেয় মরতে। মানসিক যন্ত্রণা বিষক্রিয়া থেকেও বড়।
৮. মানুষেরা লোভী তাই তারা মতের বিরোধ ঘটায়। যেখানে যার লাভ আছে সেখানেই দৌড়াতে থাকে।
৯. দেশের কবি সমাজ, সাংবাদিক সমাজ, আর বেকারগণ দেশের কোনো কল্যাণে আসছে না কখনও।
১০. বাঙালি সারাজীবন হুজুগে পাগল, দীর্ঘ চুয়ান্ন বছর পরেও তার ধারাবাহিকতা ঠিক আছে ঠিক আগের মতো।
১১. রাজনীতি দল নিষিদ্ধ সংস্কৃতি চালু হলে আরো, ভবিষ্যতে আরো অসংখ্য রাজনীতি দল নিষিদ্ধ হবার আশংকা আছে।
১২. পৃথিবীর সব দেশের সেনাবাহিনীর একই চরিত্র। তাদের দিয়ে যুদ্ধ পরিচালনা চলে, দেশ পরিচালনা চলে না।
১৩. ভারত বনাম পাকিস্তানের যুদ্ধে, বাংলাদেশের লাভ বা ক্ষতি কি? এটা তো আর বিশ্ব কাপ খেলা নয়।
১৪. দেশের মানুষ সবচেয়ে কঠিন বিষয়টি খুব সহজভাবে নিচ্ছেন। যার নাম রাজনীতি। অনেকেই জানেন না রাজনীতির মতো কঠিন আর কিছুই নেই।
১৫. "সময় " পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বিচারক।
১৬. আমাদের প্রথম ব্যর্থতা আমরা দেশপ্রেমিক হতে পারিনি সমাজে । দ্বিতীয় ব্যর্থতা শিখতে পারেনি কারিগরি বিদ্যা শিক্ষা প্রতিষ্টানে, মানবসম্পদ কি জিনিস এটা বুঝে না কোনো সরকার।
১৭. দেশের একটি দুর্বল সংবিধানের জন্য আজকে দেশের ষাট ভাগ সাধারণ মানুষ বিপদে আছে। একটি দুর্বল সংবিধান সেদিন ডক্টর কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত হয়। যার বদৌলতে দেশের পনেরো ভাগ মানুষ উচ্চ ধনী। দেশের পঁচিশ ভাগ মানুষ মাধ্যবিক ধনী। আর ষাট ভাগ সাধারণ মানুষ প্রতিদিন শোষণের শিকার। কখনও আইনের কাছে। কখনও সিন্ডিকেটের কাছে।এর জন্য আজকে ডক্টর কামাল হোসেনের বিচার হওয়া উচিৎ বলে আমি মনে করি।
১৮. যখন থেকে ঘুষ প্রথা চালু হয়েছে তখন থেকেই মানুষজন আর মরতে চায় না। তারা এখন চু রি ধা রি করে ভালো আছে।
১৯. দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক কে সবসময় বিধবা বিধবা একটা ভাব সব সরকারের আমলেই দেখা যায়। শালার এই প্রতিষ্ঠানটি সকল দুর্নীতিবাজদের অভিশাপ লেগেছে মনে হচ্ছে।
২০. ক্ষমতা যতবার হাত বদল হবে ততবার নতুন কিছু হবে। ভালো বা মন্দ। রুচি যার যার আলাদা।
সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: আহমেদ হোসাইন ছানু। উপদেষ্টা সম্পাদক: মোঃ রহমত আলী। উপদেষ্টা: মোঃ জাবেদুল ইসলাম। সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ রেজন মিয়া। কার্যালয়: উত্তর উল্যা, ভরতখালী, সাঘাটা, গাইবান্ধা, বাংলাদেশ। মোবাইল: 017013680087