• সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৯:৫৭ অপরাহ্ন

ছোটগল্প: আজকে গ্রামকে নিয়ে নেগেটিভ আলোচনা

সম্পাদক ও প্রকাশক / ৪৩ Time View
Update : শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫

সাবিত রিজওয়ান

মানুষ সুখ খুৃঁজতে গ্রামে আসে কিন্তু পায়না কেন? গ্রামে গীবতকারী, স্বার্থপর, হিংসুক এগুলো আছে। কেউ মিলেমিশে নেই, সবাই সবার শত্রুর ন্যায়! গ্রামের মানুষকে সরল বলা হয়েছিল, এখন বলা হয়না। গ্রাম থেকে অভাব দূর হবে কেমনে? আমরা নিজেদের বৈশিষ্ট্যকে নিজেরাই হ্রাস করি। গ্রামে কি মানুষ কাজ করে না? ইনকাম না করলে মানুষ হাটে যায় কী বাতাস খেতে! হ্যা গ্রামেও ইনকামের সন্ধান আছে তবে কেউ কারো ভাল চায় না। বেকারকে সমাজ বোজার কাতারে রাখে, মানুষ কিভাবে বেকার হয়? আপনি বেকার অতচ আপনার গ্রামের কেউ কাজে গেছে, তিনি কি চাইলে আপনার জন্যও একটা কাজের ব্যবস্থা করতে পারত না? তিনি নিজের সাথে আপনাকে নিয়ে যেতে পারত না? তিনি তা চায়নি। এমনটা নয় যে, গ্রামের সবাই ইনকাম করে করেনা। তাহলে কই? মানুষের জন্য মানুষ’ এটা কোন পাগলের উক্তি। আমরা অনেক টাকা ব্যয় করে হজে যেতে পারি কিন্তু চোখের সামনে এত গরীব-অসহায় দেখেও তাদের পাশে থাকতে পারি না! গ্রামে কি প্রভাবশালী নাই? ফকিরের সাথে ফকিরের দ্বন্দ্ব, তাহলে শান্তি গোসা না করে থাকবে কীভাবে। আমরা কি সুখ ভাগাভাগি করে নিতে পারি? আমি একা ছয়শ টাকা উপভোগ না করে যদি সেই লোকগুলোর সাথে ভাগাভাগি করে উপভোগ করি – এভাবে যদি বেকারত্বটা মুক্ত করার চেষ্টা করি তাহলে কি সুখ আসবে না? এমন চিন্তা কজন করে! দলবদ্ধ হয়ে খাবার খুঁজতে গেলে কি খাবার লুকাবে? খাবারে ময়লা জমবে? নাকি সেই খাবার ভাগাভাগি করে খাইলে আমাদের তৃপ্তি মিটবেনা? বেকারের চোখকে ফাঁকি দিয়ে কেউ কাজে যায়/যাওয়ার চেষ্টা করে, আবার সময় করে কাউকে/বেকারের সামনে নিজেকে হতভাগার ন্যায় প্রকাশ করে। মনে হয় তিনিই বড় অসহায়, অতচ লুকিয়ে লুকিয়ে কাজ করে ইনকাম রয়েছে তার! অভিনয়। গ্রামের কোন বাড়িতে অভাব নেই? কেউ কেউ নিজেরাই অভাব টেনে আনে! রয়েছে লোক দেখানোর অভাব। আসলে কি চোখকে ফাঁকি দেওয়া সম্ভব! দেখবেন হেতুক, অহেতুক ঝগড়া, গায়ে পড়ে ঝগড়া। কুসংস্কারের উৎপত্তি, এরাও টাকার পাগল। এখানেও চলে মাদক কারবারি, রয়েছে কিশোর গ্যাং, পড়ালেখাটাও ব্যবসা হয়ে গেছে। গ্রামে কি মারামারি নাই/হয়না? আছে, এরাও আধুনিকত্ব দস্যুর ছোঁয়া পেয়েছে। এখানেও ছিনতাইকারী, চোর বাস করে। চোরের ঘর থেকে কি ভাল মানুষ জন্মে? কল্পনামাত্র, ভুল করেও দু-চারটা হয়তো ভাল মানুষ জন্মে। রতনে রতন চিনে তাহলে চোর কাকে চিনবে। এখানেও হারাম রয়েছে, অশোভনীয় কাজ চলে। এখানের মেয়েদেরও সভাব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, এরা ভুলেই যাচ্ছে এরা মা-বোনের জাতি! এরা নিজেরাই নিজেদের সন্মানকে মেরে ফেলে। গড়ে উঠছে পরকিয়া। কেন ধর্ষণ হয়, কতটুকু সত্য, কারা এর জন্য দায়ী। কাদের দূর্বলতার জন্য দিন দিন বেড়েই চলেছে ধর্ষণ? কে আসামি? অভিভাবকদের দূর্বলতা, আইনের দূর্বলতা। মেয়েদের ইচ্ছেতেও হয় যৌনসম্ভগ। নোংরা মানসিকতার পোলাপান। এরাই দায়ী/আসামি। নারীরাও পিপীলিকা সাজতে যায়, উড়াল দিতে যায়! কিন্তু আমাদের জানা রয়েছে পিপীলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে। এতদিন পজিটিভ নিয়ে লিখলাম, আজকে নাহ-হয় নেগেটিভ নিয়ে লিখলাম। তবে শিক্ষানীয়।

Facebook Comments Box


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
bdit.com.bd