নার্গিস আক্তার
২২৫ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল গোপালগঞ্জ।হাসপাতাল জনগণের সেবামূলক একটা প্রতিষ্ঠান।যেখানে রোগী গেলে সুচিকিৎসা পাওয়ার কথা কিন্তু তা নয়।সেখানে সুস্থ মানুষ গেলেও তারা অসুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে। এমন নোংরা অবস্থা যা বর্ণনা করা দুরূহ ব্যাপার। যেহেতু সরকারি হাসপাতাল সেহেতু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ থাকা উচিত। প্রতি রোগীর বেডে শতশত তেলাপোকা রোগীর গায়ের উপর দিয়ে হেঁটে বেড়ায়। মনে হয় মানুষের বন্ধু ভয়ের কোন লেস নেই। তেলাপোকা বলেন বা আরশোলা বা গিনিপিক। এই আরশোলা ভয়াবহ রোগ জীবাণু ছড়ায়। শুধু যে নোংরা তা নয় ডাক্তার নার্স এদের রোগীর প্রতি অনেক অবহেলা ।মনে হয় কোন এক রাজ্যের রাজ অধিপতি। যাদের টাকা খায় তাদের মানুষ বলে গণ্য করে না। তাই তাদের ব্যবহার তুলে ধরা লেখনীর মাঝে সম্ভব নয়। একমাত্র ভুক্তভোগী বলতে পারেন।তবে কিছু ডাক্তার ভালো তবে সংখ্যায় কম। যেহেতু দেশের জনগণের টাকায় বেতন ভোগ করে। তাই রোগীর প্রতি যত্নবান হওয়া উচিত। দেশের সকল মানুষ ধনী নন। যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায়।সেহেতু তাদের ভালো চিকিৎসা ঔষধপত্র হাসপাতাল থেকে দেয়া উচিত। কিন্তু দুই একটা সস্তা ঔষধ ছাড়া সমস্ত ঔষুধ বাহির থেকে কিনতে হয়। এমনকি ঘন্টার পর ঘন্টা চিকিৎসা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। রোগীর; নাম এবং কি হয়েছে এর উপর ভিত্তি করে ঔষধ পত্র লিখে থাকে। এমনকি ভালো-মন্দ কোন কথা শুনতে চায়না। নিজেদের ব্যক্তিগত চেম্বারে ডেকে নেয়। এর জন্য অনেক দালাল রাখা আছে। হাসপাতালে শুধু গরিব যায়না অনেক সময় বাধ্য হয়ে ধনীরা ও যায়। ডাক্তারদের ব্যবহারে রোগী হবে সুস্থ বরঞ্চ কসাইয়ের
মতো দালাল দিয়ে ব্যক্তিগত চেম্বারে নেয়া হয়। এই সমস্ত সমস্যার সমাধান কবে হবে এবং কে করবে তা অনিশ্চিত। প্রতিটা সরকারি প্রতিষ্ঠান যখন বিকাল চারটা পর্যন্ত খোলা থাকে তাহলে হাসপাতাল কেন? একটার মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। এতে দূর দূরান্ত
থেকে আসা রোগীরা ভোগান্তির শিকার হয়। আমাদের গোপালগঞ্জ বাসীর জোর দাবি সরকারি সময় মতো দেশের প্রতি জেলা সদরের হাসপাতালগুলো বিকাল চারটা পর্যন্ত টিকিট দেয়া এবং ডাক্তারের রোগী দেখা উচিত। অনেক মুমূর্ষু রোগী হাসপাতালে বেডে দিনের পর দিন ঘন্টার পর ঘন্টা এমনকি চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেও ডাক্তার মেলে না ।অপেক্ষার কোন শেষ নাই।অবশেষে মৃত্যুর মুখে পতিত হয়। এই সকল সমস্যার সমাধান একমাত্র সরকারি চাকরিজীবীদের ব্যক্তিগত চেম্বারে বসার সুযোগ না দেয়া। তাহলে সকল সমস্যার সমাধান হবে প্রত্যেকটি জেলায়।
গোপালগঞ্জ, ইসলামপাড়া।
সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: আহমেদ হোসাইন ছানু। উপদেষ্টা সম্পাদক: মোঃ রহমত আলী। উপদেষ্টা: মোঃ জাবেদুল ইসলাম। সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ রেজন মিয়া। কার্যালয়: উত্তর উল্যা, ভরতখালী, সাঘাটা, গাইবান্ধা, বাংলাদেশ। মোবাইল: 017013680087