• মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ০১:৩১ পূর্বাহ্ন

যতটা কাল বেঁচে আছি নয় আর দুষ্টুমি

Reporter Name / ১০০ Time View
Update : সোমবার, ৫ মে, ২০২৫

লেখক: নাসরিন ইসলাম

দুষ্টুমি কার সাথে করে, জানো কি? না, জানো না তুমি! যদি জানতেই, তাহলে শতাব্দী পর শতাব্দী বোবা টানেলে অস্তাগামী সূর্যের মত নিথর হয়ে লুকিয়ে পড়তে না। নিঁকশ আঁধারে ঢেকে দিয়ে তোমার আত্মা কে।

আকুলি-বিকুলি চিত্ত তবুও তোমাতেই চলছিলো ঘূর্ণন।বিন্দুমাত্র হারিয়ে যাওনি, প্রভূর অধম বান্দা হতে! যাওনি হারিয়ে। হারিয়ে গেলো সেই হিরন্ময়ক্ষণগুলো, যা মান-অভিমানে হারিয়ে ফেললে কালের গহ্বরে। কিন্তু চাই নি আমি, বিশ্বাস করো এমনটা আমি চাইনি।

আজও আমার প্রতিধ্বনি হয়ে নিরন্তর ভেসে চলে “কত-শত মানবী কর্মস্থলে আমার চারিপাশে অবস্থান করে, বলতে পারো ভালোবাসে প্রচন্ড! কিন্তু আমি পড়ে রই যে তোমার মায়ায়”। তুমিময় বলয়ে আমার পৃথিবী সেই অনাদিকাল হতে ঘূর্ণয়মান!

দুষ্টুমীতে ভরা একটি মাত্র বাক্য আমাদের ছিন্নভিন্ন করে দিলো——-! গুগল মামা হতে প্রাপ্ত ছবিটি এঁটেছিলাম কবিতায়—– অমনি শনিরদশা কাঁধে পড়লো ঝুলে।

” ছুঁড়ে ফেলো আমায়” বলে দিকবিদিকশুন্য হয়ে চললে ছুটে! আকাশ পাতাল মহাশূন্যে ——

সেই হতে ঝরেছি। লোহিতসাগরের অতলান্তে দিয়েছি ডুব। জীবন নামক তামাশার ঘর হতে রেহাই পেতে। কিন্তু না, লোহিত সাগরের জলকণা করেনি গ্রহন! যতই ধুর ধুর করে দিলে তাড়িয়ে, করলে বজ্রাঘাত তুমিময় বলয় হতে দূরে সরানোর নেশা যেনো জেঁকে ধরলো তোমায়—– দূর্বিষহ যন্ত্রণায় কুঁকড়ে গেলাম, নিস্পৃহ নিস্প্রভ নিষ্প্রাণ জড় হয়ে কতকাল রয়েছিলাম পরে।
।তা জানবে না কোনদিনও তুমি—-

শুধু এটুকু বলবো——–
তোমায় খুঁজতে খুঁজতে আমি কখনও বারমুডা কখনও ব্লাকহোলে——-কোথায় অক্সিজেন? কোথায় নাইট্রোজেন! কোথায় হাইড্রোজেন? কোথায় বা কার্বন-ডাই-অক্সাইড ? ঘুনাক্ষরেও চিন্তায় আসেনি—তোমার পিছু ছুঁটতে ছুঁটতে সেই বোধশক্তি টুকু ছিলো না আমার ।

তবুও তোমায় পারিনি বিন্দুকণা দূরে সরাতে। চেতন- অবচেতন মনে যপে চলি তোমা নাম। রাতে ঘুমের ঘোরে কতশত নাম ধরে ডেকেছি! দাওনি, দাওনি সাড়া। অতঃপর সাড়া না পেয়ে সত্তা কে করেছি রক্তাক্ত, নিলয়-অলিন্দ হয়েছে ক্ষত-বিক্ষত।

সেই হাহাকার আহাজারি আর্তনাদ বিদীর্ণ করেছে আসমান। তথাপি পরমাত্মার কর্ণে করে নি প্রবেশ। শংকা সংশয় দূরে ঠেলে নিঃশ্বাসের টানাপোড়েনও ছাড়িনি হাল। বসে রয়েছি হিমালয় পর্বতের ধ্যানে সালের পর সাল। কি যে এক অভিমান চেঁপে বসলো তোমায়! সহস্রবার ক্ষমা চেয়েছি, ডেকে চলেছি চিৎকার করে কিন্তু নিথর হয়ে রইলে পড়ে ——

সেই আর্তি আকুতি-মিনতিতে সুদূর আকাশের উল্কাপিণ্ড এই অধমের অস্থিরতা দেখে সীমাহীন দিগন্তে উদভ্রান্ত এর মত করছিলো ছুটাছুটি হুড়োহুড়ি লুটোপুটি। ভেঙে চুড়ে চুরমার করার চলছিলো পাঁয়তারা পার্থিব জগত সংসার এর নৈসর্গিক সৌন্দর্য!

কিন্তু? না বেহায়া মন রইলো পরে তোমাতেই। আচ্ছা অনির্বান বলো তো, অকৃত্রিম অকৃপণ মমত্ব মানুষ কে বেহায়া করে তোলে কি?

ভাটার পর জোয়ারের তান, দিনের পর রাত্রির গান।
অতঃপর তোমার একটু একটু করে ফিরে আসা হলো শুরু — বছরের প্রারম্ভে দেখা। হলো টুকিটাকি কথোপকথন ! আসলে একাগ্রচিত্তে মানুষ যা চায়, শত দুর্দশা দুর্ভোগ পার হয়ে, তাই-ই পায়।

ও হ্যাঁ, শুধু মন খারাপেই নয়, আজও হাসি-কান্না, সুখে-দুঃখ, আশা-প্রত্যাশা আনন্দ-বিরহ শুধু তোমাকেই চলি খুঁজি

তোমায় ঘিরেই বহমান অস্থি- মস্তিষ্ক, সত্তা-স্বকীয়তা ———

তাই পুনরায় প্রমাণ হলো….একাগ্রচিত্ত এর প্রার্থনা বৃথা যায় না, যাবার নয়। তোমার শত ঘৃণা রাগ-ক্ষোভের মাঝেও মনোজমিনে মহান প্রভূর এ অধম বান্দা কখন যে গড়লো বসত! বিন্দুমাত্র পাওনি টের—-!

Facebook Comments Box


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
bdit.com.bd