লেখক: ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম
বাংলা মায়ের গর্ভে জন্মেছে অনেক Highly talented warrior আবার মীরজাফর মীর সাদিক জগত শেঠ উমিচাঁদ ঘষেটি বেগম , দেশকে তুলে দিয়েছে অন্যের হাতে সামান্য স্বার্থের বিনিময়ে! গরীব অশিক্ষিত ধর্মপ্রাণ মানুষ গুলো খুব সহজ প্রতারিত হন, সে সুযোগটা নেয় এই সব মীর জাফর রা! দেশ যখন বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাড়ায় তখন এমন সব মিথ্যা রটনা ছড়িয়ে দেয় যা সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে প্রতারিত হয় এবং যখন বুঝতে পারে তখন তাদের পায়ের নিচের মাটি সরে যায়, হাবুডুবু খায় সমুদ্রের উর্মিমালায়! সে ঢেউয়ের থেকে কূল পেতে লেগে যায় দু'শ বছর! অবশ্য যদি গান্ধী সুভাষ বোস মুজিবের মত নেতা অকুতোভয় সৈনিক নেতার আগমন ঘটে! যদি জীবন বাজি রাখা তিতুমীর মজনু শাহ প্রীতিলতা সূর্যসেন কল্পনা দত্ত নির্মল সেন নন্দ কুমার সালাম রফিক বরকত জব্বারের মত আত্মদানকারী বীর মুক্তি যোদ্ধা সাথে পেয়ে যান ক্ষণ জন্মা নেত্রীত্ব দানকারী নেতা!
প্রিয় পাঠক, এ দেশের সব চেয়ে বড় সমস্যা "শিক্ষিত নাম ধারী অশিক্ষিতরা" যারা দেশের মানুষ গুলোর মধ্যে বাস করে ভুল ধারনা দেয় এবং অজ্ঞ লেস আই-কিউ তাদের!!
দেশকে কোন মীরজাফর লর্ড ক্লাইভের হাতে তুলে দেন ক্ষুদ্র স্বার্থে আর নবাব সিরাজুদ্দৌলার মত অসতর্ক অপরিনামদর্শী সরল মনা প্রজা হিতৈষীর শাসকের ভুলের জন্য! সে দেশকে আবার স্বাধীন করতে লেগে যায় গ্যালন গ্যালন রক্ত, জীবন, এবং সময়! যেমন বৃটিশ থেকে মুক্তি পেতে প্রয়োজন হয়েছিলো ১৯০ বছরের, পাকিস্তান থেকে মুক্তি মিলেছিলো ২৩ বছর, ৩০ লক্ষ জীবন এবং ৪ লক্ষ মা বোনের ইজ্জত তথা মুজিবের মত নেতার! তিনি গুরুও পেয়েছিলেন সুভাষ, শেরেবাংলা, সোহরাওয়ার্দী, ভাসানী, তর্কবাগীশ ইত্যাদি!
পাঠক, আমি একজন বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের বীর বাঙালির কথা সামান্য আলোকপাত করবো! তার নাম
"প্রীতিলতা!" বাঙালি নারী, ঢাকা ইডেন থেকে ইন্টার ও কলকাতা কলেজ থেকে ডিগ্রি নিয়ে স্কুল শিক্ষকতা শুরু করে দেশ মাতার ডাকে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন! তিনি পরিচিত হয়েছিলেন মাস্টার্স দা সূর্য সেনে, কল্পনা দত্তের সাথে নির্মল সেনের বাসায়! "ঝাঁসির রানীর" জীবনী তাকে সংগ্রামী নারী হতে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল! ততকালীন নারীদের মত বিয়ে করে স্বামী সংসারী হতে পারতেন গোটা ৭/৮ সন্তান জন্মদাত্রী! কিন্তু তা তিনি হলেন না! পাহাড়তলী European Club তাকে মাথায় রক্ত চড়াতো যত বার সে জায়গার পাশ দিয়ে তিনি যেতেন! শ্বেতাঙ্গদের পা চাটা বাঙালি কুকুর রা মদ মহিলা উদাম নৃত্যের আসর বসাতো সেখানে! নারী সরবরাহ কারী তখনও ছিলো এখোনও আছে।
সব চেয়ে তিনি কষ্ট পেতেন সেই ক্লাব গেটে লেখা ছিলো
"Only the INDIANS and DOG can't Enter! "
তিনি ১৯৩২ সালের এক রাতে ১৭ জন সহযোদ্ধা নিয়ে জন চল্লিশ ইংরেজের আনন্দ ফূর্তির ভিতর অতর্কিত পিস্তল রাইফেল নিয়ে আক্রমণ করেন! অপারেশন সাকসেসফুল হলেও ইংরেজ আধুনিক অস্ত্রে প্রায় ১১ জন আহত হন! প্রীতিলতার জখম ছিলো বেশ মারাত্মক! তিনি ক্লাবের ভিতর ঢুকে গোলাগুলির নেতৃত্ব দেয়ায় তাকে টার্গেট করে ইংরেজ বেশী গুলি ছোড়ে!
তিনি আহত অবস্থায় সবাইকে পালিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়ে ইংরেজ হাতে বন্দী এড়াতে "পটাশিয়াম সায়ানাইড" খেয়ে আত্মহত্যা করেন!
প্রিয় পাঠক, পটিয়ার ধলঘাট অজো পাড়াগাঁয়ের সেই শ্রদ্ধেয় "প্রীতি লতার" বাড়ীটা বিগত কোন স্বৈরশাসক দারুন ধবধবে ধোয়া-মোছা সাদা প্রলেপে স্মরনীয় করেছিলেন দর্শনার্থীদের জন্য! আগামী তে হয়তো বেপর্দা নারী আরো চণ্ডাল সংখ্যা লঘূ হিসাবে আর কেউ ঐ বাড়ী সরকারি পয়সায় এমন ধবধবে করতে যাবে না বরং তার স্ট্যাচুটা স্বর্গে যাওয়ার পথে বাঁধা তাই ভেঙে ফেলা হবে! গড়ে উঠবে চিটাগং পাহাড়তলী European Club না হোক অন্য কোন শ্বেতাঙ্গ ক্লাব ! যেখানে লেখা থাকবে "THE BENGALI AND DOG IS STRICTLY PROHIBITED TO ENTER ! " হয়তো আমি সেদিন বেঁচে থাকবো না কিন্তু আমার ভবিষ্যৎ বানী ইথারের তরঙ্গে ভাসমান থাকবে!
পাঠক, আর্টিকেল টা লেখার সময় চোখের কোণ বেয়ে অশ্রু গড়ালো! সে অশ্রু শুধু একজন "প্রীতিলতা সূর্যসেন ক্ষুদিরামদের কথা ভেবে নয়, বাঙালির আগামী ১০০ বছরের অবস্থা ভেবে!
যে রাজনৈতিক দলের নেতা চীৎকার করে আজ বলছেন " গত আট মাসে নব্বই হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে, কেন আমার নিজ দেশের সেন্ট মার্টিন যেতে পারছি না? সেই দল কয়েক বছর আগে তাদের মতই অন্য রাজনৈতিক দলের নেতাকে হত্যা করতে সভায় গ্রেনেড হামলা করেছেন, আন্ডারগ্রাউন্ড ডন দাউদ ইব্রাহীমের সাথেে, ইসরায়েলের মোসাদ প্রধানের সাথে সিটিং মিটিং করেছেন শুধু একজন বিরোধী নেত্রী কে হত্যা করতে! আজ চীৎকার দিচ্ছেন, এবং সত্যি কথা না হলে সরকার প্রতিবাদ করতেন, মির্জা আব্বাস কে গ্রেফতার করতেন কিন্তু সত্যি বলে সরকার তা করেন নাই! নেতা তারা, কবি লেখক সাহিত্যিক সাংবাদিক তারা , যারা আগামী ৬ মাস পরের বিষয় হৃদয় আয়নায় দেখতে পায়! শৃঙ্খল বন্দী হওয়ার পরে তো গরু-ছাগল ভেড়া ও বুঝতে পারে আমি আটকে গেছি!
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন।
সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: আহমেদ হোসাইন ছানু। উপদেষ্টা সম্পাদক: মোঃ রহমত আলী। উপদেষ্টা: মোঃ জাবেদুল ইসলাম। সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ রেজন মিয়া। কার্যালয়: উত্তর উল্যা, ভরতখালী, সাঘাটা, গাইবান্ধা, বাংলাদেশ। মোবাইল: 017013680087