অথই নূরুল আমিন
এই মর্মে সম্মানিত সেনাপ্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে, ২ আগষ্ট ২০২৪ আপনার বরাবর একটি খোলা চিঠি লিখেছিলাম। যা “আমার যুদ্ধ কলমে ” বইটিতে ছাপানো হয়েছে। এবং সেই বই আপনাকে এবং ডিজিএফআইয়ের প্রধানসহ দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে দেয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিলো। তখন দেশের মধ্যে বিরাজ করেছে একরকম অরাজকতা। আজকে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে এখন বিরাজ করছে আরেক রকম বিশৃঙ্খলা। সামাজিক ভাবে এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। এছাড়া প্রতিদিন শাহবাগে, জাতীয় প্রেসক্লাবে এবং জেলা উপজেলায় নানারকম দাবিতে মিছিল মিটিং মানব বন্ধন এবং সাংবাদিক সম্মেলন সহ নানারকম অসুবিধা গুলো জনগণ প্রকাশ করছে।
তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা বিরাজ করছে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে। আসলে একটি নাগরিকের স্বপ্ন পূরণে সরকারের অগ্রণী ভূমিকা থাকা একান্ত প্রয়োজন। এই সকল বিষয়ের সমাধান নিয়ে আলাপের জন্য আপনাকে আরো তিনটি চিঠি আমি ব্যক্তিগত দিয়েছি। পেয়েছেন কিনা জানিনা। তবে একটু সরাসরি সাক্ষাৎ হলে ভালো হতো।
আজকে বাংলাদেশে চরম অরাজকতা চলছে সকল দিকে। দেশের আশিভাগ নাগরিক যেন দিশাহারা। এছাড়া দেশের প্রায় ছয় কোটি মানুষ বেকার। এর মধ্যে শিক্ষিত বেকারের হার পঞ্চাশ লাখেরও বেশি। এরকম অবস্থায় দেশের জনগণ আজকে হতাশ । তাদের এই মহা সংকটে কে দিবে আশা কে দিবে ভরসা।
বতর্মান এই অস্থায়ী সরকারের কাছেও নেই অনেক ক্ষমতা। মাঝ পথে অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দিচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। এখানে আরো কিছু জনগণের কর্ম হারাচ্ছে। বাসস্থান হারাচ্ছে। এদিকে অনেক ব্যাংক লোন দেয়া বন্ধ রেখেছে। অন্যদিকে সারাদেশ জুড়ে চলছে অবাদে চাদাবাজী। চুরি ডাকাতি ছিনতাই সহ নানারকম অসুন্দর কার্যক্রম।
কথা থাকে সারাদেশ জুড়ে সেনাবাহিনীসহ যৌথ বাহিনীর তৎপরতা থাকার পরেও এক শ্রেণির মন্দ লোকেরা তাদের মন্দ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এখানে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সমাজের নীরিহ জনগণ। আপনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান মানে সব বাহিনীর প্রধান। তাই আশাকরি একটু দৃষ্টি দিবেন। দেশের এরকম পরিস্থিতি যেন আরো সুন্দর থাকে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা গুলো খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। আমার জানামতে বর্তমান সরকার কিছু কিছু কাজ খুব ভালো করছেন। তবে অনেক বিষয়ে তারা কর্ণপাত করছেন না। এখান চলছে শ্লোগান। খালি বোতল ভরা বোতল। এরকম বিষয়ের প্রতি আশাকরি আপনি সুনজর দিবেন।
অথই নূরুল আমিন
কবি কলামিস্ট ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী।