পাকিস্তান তার ১৭০ টা পরমাণু ওয়ার হেড ভারতের দিকে তাক করে রেখেছে! ঠিক আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে ধরে না এই বালখিল্যতা কেন? পরমাণু ওয়ার হেড ব্যবহার সব দেশের সব শেষ চিকিৎসা! দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিরোশিমা নাগাসাকি তে লিটলবয় ও ফ্যাটম্যান পরমাণু ওয়ার হেড আক্রমণ করেছিলো আমেরিকা যুদ্ধ শেষ পর্যায়ে যখন অক্ষশক্তির পরাজয় প্রায় নিশ্চিত , জার্মান মাটিতে রাশিয়ার “রেড ফৌজ” রাজ করতেছে, ইতালি যুদ্ধ ছেড়ে দিছে কিন্তু জাপান ও সুভাষ বসুর সেনারা সিঙ্গাপুর থেকে বৃটিশ সেনাদের তাড়িয়ে দিয়ে অন্য দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন আমেরিকা জাপান কে কাহিল করতে পরমাণু ওয়ার হেড ব্যবহার করে! উল্লেখ্য, কয়েক মিনিটে ভিতর ২লক্ষ ১৪ হাজার লোক মৃত্যু বরন করার পর জাপান নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় ! That was the doctrine of necessity nuclear weapons using ! যুদ্ধ লাগার আগেই সব ওয়ার হেড তাক করা অনেকটা ছেলেমি মনে হয়!
প্রিয় পাঠক, বিশ্বে মোট ১৩০৮০ টা পরমাণু ওয়ার হেড আছে যার ৯০% রাশিয়া আমেরিকার কাছে! তারা আজীবন শত্রু একে অপরে কিন্তু কেউ কারো দিকে তাক করে রাখে না! আমার আপনার কাছে পরমাণু ওয়ার হেড থাকলেই শত ভাগ সচল তা ভাবার কোন কারন নাই! আমেরিকা রাশিয়া উত্তর কোরিয়া পরীক্ষা নীরিক্ষায় থাকে কিন্তু পাকিস্তান তো সেই যে পাকিস্তান পরমাণু জনক আঃ সালাম স্যার নেদারল্যান্ডস পরমাণু পড়তে যেয়ে ফর্মুলা এনে ১৯৭৬ সালে ওয়ার হেড তৈরি করলেন এবং কাজ শেষ হলে বছর দশ জেলে পঁচে মরে গেলেন! সে বিষয় আজ আর এখানে আলাপ করবো না! কেন জেল, কেন এমন শাস্তি তা নাই-বা শুনলেন বরং সদ্য আমেরিকা ১০০ যুদ্ধ বিমান বহনকারী বিশ্বের সবচেয়ে বড় শীপ তৈরি করে জলে নামিয়েছে কিন্তু রাশিয়া তা দেখে মোটেই জেলাস নয় এবং তড়িঘড়ি করে এমন জাহাজ নির্মানে হাত দেন নাই!
তাদের বক্তব্য হচ্ছে, জলের পরে ভাসমান জাহাজ ডুবাতে লাগবে মাত্র কয়েক মিনিট তাহলে এমন অনিশ্চিত জাহাজ তৈরি কেন করবো ৪/৫ বিলিয়ন ডলার খরচ করে?
পাঠক, আসুন আমাদের শত্রু দেশ ভারতের সক্ষমতা নিয়ে একটু আলাপ করি! ভারতে আছে রাশান
S – 400 যা বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্হা! যে কোন ওয়ার হেড বা বিমান ড্রোন মিশাইল আক্রমণ আকাশে ই ধ্বংস করে দিতে পারে! S — 400 বিশ্বে মাত্র রাশিয়া ছাড়া তিনটা দেশের কাছে আছে!
আমরা মুসলমান, নেহি ছাড়েগা সূচাগ্র মেদিনী থাকতে দেহে প্রান! আমার ভাই পাকিস্তান আক্রান্ত হলে আমরা বসে থাকবো না, সেভেন সিস্টার্স দখল করে ফলবো রাতারাতি! আর বড় শক্তি হলো “মরলে শহীদ বিনা হিসাব কিতাবে বেহেশতে!” এমন মরন কে না চায়, কুকর্ম তো কম করি নাই, এভাবে মরে যদি আল্লাহর নিক্তির ওজন এড়ানো যায়! উল্লেখ্য, আমাদের দুই ভাইর কারো S — 400 নাই! আবার ভারত ফায়ারফক্স জরিপে বিশ্বে অস্ত্র ক্রমিকে ৪ র্থ স্হান দখল করে বসে আছে! ভারতের আছে ১৮০ টি পরমাণু ওয়ার হেড, পাকিস্তানের আছে ১৭০, জানিনা পাকিস্তানের কয়টা অপারেশনেবল ( কার্যকরী) ?
“সালাম স্যার” ১৯৭১ সালের আগে “পরমাণু ওয়ার হেড” পাকিস্তানে সংস্থাপন করতে পারলে কি, পাকিস্তান বাংলাদেশের শস্য শ্যামল সোনা ফলানো মাটি পোড়ামাটি করে দিতেন?
আমি লেখক আশাবাদী ছিলাম আগামীতে পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী হবে আরো দু’টো মুসলিম দেশ —
সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাংলাদেশ! এই দু’টো দেশ অনেক কষ্টে মার্কিন চোখ ফাঁকি দিয়ে পরমাণু কাঁচামাল
“ইউরেনিয়াম” আমদানির অনুমতি পেয়েছে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করতে! কঠিন পদক্ষেপ টা তারা অতিক্রম করেছে!
অজানা তিনটা দেশের কাছে পরমাণু ওয়ার হেড থাকতে পারে, ১. তুরস্ক ২. ইসরায়েল ৩. ইরান !
ব্যাখ্যা দেয়ার জায়গার স্বল্পতা! শুধু জেনে রাখুন, কিছুদিন আগে আফ্রিকার একটা দেশ থেকে প্রচুর ইউরেনিয়াম কিনেছে “ইরান”! ইরানে কোন পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নাই, “ইউরেনিয়াম” দিয়ে তরকারি পাক করে খাওয়া যায় না —-
সম্ভবত “পদ্মা নদীর মাঝি” উপমহাদেশ খ্যাত উপন্যাসের লেখক, মানিক বন্দোপাধ্যয় না খেয়ে মরার সময় বলেছিলেন,
“পরিবারের তিন বেলার ডাল-ভাত জোগাড় না রেখে কেউ যেন সাহিত্য জগতে না আসে!”
পাঠক, ইউক্রেনের জেলনেস্কি কি বলে যাবেন, “গ্লোবাল পলিটিক্সে বিশ্বের বৃহত্তর শক্তির কূটচাল না বুঝে এবং তিন বেলার ডাল-ভাত ঘরে না রেখে কেউ যেন, ” যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় শখ করে আমার মত না জড়ায়!”
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন।