ধীরেন্দ্র কুমার দেবনাথ শ্যামল
দাঁড়াও পথিক! শুন মোর বারতা
আদিকাল হতে সৃষ্টি মোর
দেখেছি কত কী?
সৃষ্টির পর কত মুণি ঋষি
নির্জন স্থানে বসে করতো
পরম পুরুষের প্রার্থনা
আমিও পরম শিহরণে
পুলকিত হতাম,কৃতার্থ হতাম
সান্নিধ্য পেতাম পরমদের
বেশ ভালোই যাচ্ছিল দিনকাল।
শুন পথিক!শুন মোর কথা
আরোও দেখতে হবে কত কী?
বৃক্ষরাজিতে পরিপুর্ণ ছিলাম
শীতল ছায়ায় বসত রাখালগণ
শুনাত মধুর সুরের বাঁশরি
বাঁশরির মধুর সুরে পাগলিনী
রাইবিনোদিনী ছুটে আসত
কৃষ্ণ দরশনে
সেই কৃষ্ণ আর নেই,নেই বাঁশির সুর।
ওহে পথিক!শুন মোর কষ্টের বাক্যালাপ
দিন যায়,রাত আসে
কালের নিয়মে চলছে তো চলছেই
সেই রুপ আমিও হারিয়ে যাচ্ছি
দিন দিন মনুষ্যজাতি বেড়েই চলছে
বসবাসের জন্য প্রথমে আমার
বৃক্ষ নিধন করছে
তারপর আমাকে কেটে করছে ধ্বংস
নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে
গড়ে তুলেছে ইমারত
গাছপালা নিধনের ফলে
ভারসাম্য হারাচ্ছে ধরণী।
কালের অঘোর নিয়মে
এক সাগর ব্যাথা নিয়ে
দাঁড়িয়ে থাকব অনন্তকাল।