রাকিবুল ইসলাম রাহান
সে যেমনই হোক রাগী, গম্ভীর,
তবু সেই তো আমার ধ্রুব নক্ষত্র,
এই জীবনপথে তারই হাত ধরে
চলেছি আমি নিঃশব্দে নির্ভর।
তার চোখে জ্বলে সত্যের আলো,
তার কথাতেই মানি আমি চলার তাল,
সে না থাকলে জীবন নিঃস্ব
তাকে ছাড়া বেঁচে থাকাই কাল।
তার কণ্ঠস্বরেই ভোর জাগে,
তার ছোঁয়াতেই ক্লান্তি যায়,
সে হাসলে মনে হয়
সব দুঃখ মিলায়ে হাওয়ায়।
সে কাঁদলে আমার বুক ফাটে,
তার ব্যথা লাগে নিজের মতন,
তার একটুখানি অভিমানেও
আমি হয়ে পড়ি নরম বেদনাময় বৃক্ষের মত।
সংসারের সব ব্যস্ত পথ,
তার ছায়াতেই খোঁজে ছায়া,
সে পাশে থাকলে, শত ঝড়েও
মন পায় স্থির নির্ভর মায়া।
সে জানুক আমার মনখানি,
আমার প্রতিটি নিঃশ্বাস,
সেই আমার দিন রাত্রির মানে,
তার ছাড়াই সব কিছু নিরাশ।
সেই আমার ঢাল তলোয়ার,
সেই আমার চৌকিদার,
সেই তো জানে কোথায় ব্যথা,
সেই আমার আত্মার ধার।
স্বাধীনতা মানে তার ভালোবাসা,
গোপনতা মানে তার চোখে চাওয়া,
যার কাঁধে মাথা রেখে ঘুমাই
তার কাছে মন খুলে বলা স্বাভাবিক চাওয়া।
নারীবাদ মানি, তবে তার বাহুডোরে
সব আন্দোলন থেমে যায়,
তার স্পর্শে যে সম্মান মেলে,
তেমন স্বর্গ আর কোথায়?
তার আদরে শান্তি জাগে,
তার রাগেও থাকে শাসন,
সে শুধু স্বামী নয়
সে আমার সাধনার মনন।
ঝগড়া হলে কাঁদি আমি,
তার একটুখানি মুখ ফিরিয়ে,
ভাবি ওহ যদি এখন ডাকে
এই মন ব্যাকুল হয় ঘিরে।
সে আমার গর্ব, আমার সাহস,
সে আমার ভরসার ঢেউ,
সে যদি কখনো হারিয়ে যায়
এই বুকটা হয় শূন্য নৌ।
ভালো স্বামী আল্লাহর উপহার,
না পেয়ে বুঝি কতখানি ক্ষয়,
সে পাশে থাকলে পথ দেখি আমি
তার ছায়াতেই মেলে আশ্রয়।
হে আল্লাহ! দাও প্রতিটি নারীকে
এই চোখ, এই মনের দীপ্তি
যেন সে ভাবতে পারে হৃদয় দিয়ে
আমার স্বামীই জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ।
এই ভাবনায় গড়ে উঠুক
প্রেমভরা প্রতিটি বাসা,
যেখানে স্বামীর সম্মানে
বয়ে যায় ভালোবাসার বাতাস।