রকিবুল ইসলাম
তুমি কখনো বরষার অবারিত বারি,
আবার কখনো তুমি প্রচন্ড দাবদাহে প্রজ্জ্বলিত অগ্নিদাহ খরা।
কখনো তুমি কনকনে শীতের হিমবহতা,
আবার কখনো তুমি বসন্তের মিষ্টি হাওয়া।
কখনো তুমি পড়ন্ত বিকেলের গোধূলী লগন,
তেজস্বী রবির বিদায়বেলা।
আবার কখনো তুমি দিবাভাগের অন্তিম মূহুর্তের রক্তিম গগণ, পাখিদের নীড়ে ফেরার সন্ধিক্ষণ,
রাতের নীল আকাশে তারা’দের অসারিবদ্ধ বিচরণ।
কখনো তুমি জোনাকির আলো, তুমি দৃষ্টির পিদিম,
তুমি আলেয়ার আলো।
তুমি রঙিন জ্যোৎস্নার ঝলমলে আলোকসজ্জা,
সেই তুমিই আবার অমাবস্যার ঘণ, গাঢ় নিম
রজনীর ঘোর আঁধার, এক রাশ হতাশা আর হৃদয়ের অতল গহ্বরে নিমজ্জিত দুঃখের নিষাণ।
কখনো তুমি আত্মার ব্যাকুলতা, কখনো আবার আশার ভেলা।
কখনো সেই তুমিই স্বপ্ন সারথী, তোমাতেই প্রত্যাশার শুরু, তোমাতেই তা সারা।
কখনো তুমি তটিনী সঙ্গমে উন্মুখ প্রবল ঝর্ণাধারা,
আবার কখনো সাগরে মিলনের জন্য স্বীয় সত্ত্বাকে বিলিনকল্পে ব্যস্ত স্রোতধারা।
তুমি কখনো আমার আশার আলো, কখনো রাজ্যের হতাশা।
কখনো তোমাতে আমি হরষে উৎফুল্লচিত্ত,
কখনো বা আমি তোমাতেই দুঃখিত মননে পরাজয় স্বীকারে মত্ত।
তোমাতেই চলে আশার ভেলা,
তোমাতেই সমাপ্তি তার পরিক্রমা।
তুমি যোগে হাসি আমি,কাঁদি তোমার বিয়োগে,
পরিশেষে তাই রাতের আঁধার কহিল মোরে,
ভুলে যা তুই সকল ব্যথা-বেদনা, হতাশা-
আছি আমি সাথী হয়ে তোর সাথে সতত, সহসা।