রাকিবুল ইসলাম রাহান
ছোটবেলার পথে ছিল কাঁটা,
দিন গড়াতো ঘামে চলে হাঁটা।
বুকের ভিতর জমে থাকা জ্বালা,
তবু মুখে থাকত মায়া হালকা।
ঝুড়ি হাতে বাজারের পথে,
জীবনের মানে শিখেছে রক্তে।
নরম পায়ে পাথর ছোঁয়া,
চোখের জলে রাত হয়।
হাজিরহাটের স্কুলের কোণে,
স্বপ্ন ছিল মেঘের ভুবনে।
বর্ণমালায় আঁকার আশা,
মানুষকে ভালোবাসার ভাষা।
তাকে কাঁদিয়েছে অনেক ভোর,
তবু সে দিয়েছে আলোতে জোর।
একটু জলে, একটু ঘামে,
সে বানিয়েছে মানুষের নামের দামে।
একদিন এল এক পথ চেনা,
সত্য বলার, ন্যায়ের বর্ণনা।
কলম হাতে সে তো বুঝল,
মানুষ বাঁচে যদি কেউ জিজ্ঞাসা জুড়লো।
সাংবাদিক সে নামটি পায়,
তবু ভিতরটা কাঁদে চায়।
কারণ সে জানে, অভাব মানে কী,
মায়ার ভিতর লুকানো এক আমি।
এখন সে বলে, তুমি ভালো থাকো,
নিজের দুঃখে, তবু দেয় আলো।
চোখে তার এক থেমে থাকা নদী,
জল নেই, তবু ভাসে স্মৃতি।
রাকিব মানে হেঁটে যাওয়া,
রাকিব মানে চুপে চাওয়া।
কেউ না দেখুক, সে
তো জানে,
মানুষের বুকেই রোদ-বৃষ্টি টানে।