আলিম আহমেদ
রিক্সাওয়ালা যাত্রী নিয়ে যাইতে ছিলো, হঠাৎ দেখলো এক রিক্সাওয়ালার তাহার চাইতে, বসে এসেছে। মেয়েটি বলে ও ড্রাইভার, কোথায় যাবেন।ঢাকা না টঙ্গী পাড়া, না আমি ঢাকাতে যাবো।
কতো ভাড়া বলবেন, বেশী টাকা নায়তো, একশত টাকা।
মেয়েটি বলে এতো দাম কেনো,
আর কম হবে না, না আমি যতো বলছি, এতো নেবো- আচ্ছা উঠবো নাকি, রিক্সাতে জ্বী উঠেন।
রিক্সাওয়ারা ছেলে শিক্ষিত, খুব সুন্দর গান বলে। মেয়ে বললো কাকে তুমি গান শুনাচ্ছো,মেয়েটি বললো রিক্সাওয়ালাকে,
তুমি এতো সুন্দর গান বলো, আগে জেনে থাকতাম যদি; তুমি অনেক বড় শিল্পী হয়ে যেতে। রিক্সাওয়ালার বললো, এই গান আমার দুঃখের গান।
রিক্সাওয়ালার মেয়েটিকে তাহার কাহিনী বললো মেয়েটি, অবাক হয়ে শুনছে। রিক্সাওয়ালার কাহিনী,, রিক্সাওয়ালা বললো,,আমি এক মেয়েকে ভালো বেসেছিলাম।
সে মেয়ে আমাকে ধোঁকা দিয়েছে,আমি ভাবতাম না? ভালোবাসা এতো কষ্টের,
কেউ কারো আপন নয়;
মেয়েটি অনেক সার্থপর”
ভালোবাসার নাম ছলনা,
কেউ কারো দুঃখ বুঝেনা।
কেউ হাসায় কেউ কাঁদায়,
কেউবা আপন হয়ে যায়।
মেয়েটি আমাকে ভালো বাসতো,যদি আমি কোনদিন থাকে ভুলে যেতাম না।
আমি রিক্সাওয়ালা বলে,সবাই আমাকে অপমান করতো, রিক্সাওয়ালা মানুষ নায়? রিক্সাওয়ালা রক্তে মাংসে গড়া নায়, রিক্সাওয়ালা মানুষ পেটের জন্য রিক্সা চালায়। তোদের মায়া দয়া নাই, আমিতো রক্তে মাংসে গড়া মানুষ,তোরা আমাকে অপমান করে, কি? পেয়েছো,তোমাদের একদিন আল্লাহ বিচার করবেন। অপমানের সঠিক বিচার একদিন পাবো।
লেখক পরিচিত: আলিম আহমেদের জন্ম ১৯৯০ ইং মধ্যবিত্ত পরিবারে। মির্জাপুর, ব্রাক্ষণবাজার, কুলাউড়া, মৌলভীবাজারে বাস করেন। পিতা: মৃত আব্দুল মান্নান, মাতা: তছিরুন্নেছা। ডাকঘর: কাজলধারা।