বিশেষ করে আমাদের দেশের রাজনীতি অঙ্গন নিয়ে সরগরম সমালোচনা আছে। আলোচনা রয়েছে । দেশের প্রতিদিনকার যত খবর তৈরি হয়, তার নব্বই ভাগ খবর হচ্ছে, রাজনীতি অঙ্গন নিয়ে। দেশের মানুষ পত্র- পত্রিকা বা টেলিভিশনে প্রথমেই জানতে চান বা দেখতে চান রাজনীতির খবর কি? এবং তারপরে কি?
আমাদের দেশে রাজনীতি অঙ্গনে,বেশিরভাগ নেতাকর্মী তারা যেমন মুর্খ বটে , তেমনি বড্ড অসৎ ও বটে। এরকম প্রমাণ অহরহ রয়েছে জনগণের কাছে। যার ফলে রাজনৈতিক নেতাদেরেকে বর্তমানে অনেকেই কদর করতে চান না। তারচেয়েও আরেকটি জগণ্য বিষয় হচ্ছে, ভাষাগতভাবে তারা খুবই কটু কথা ব্যবহার করে থাকেন প্রায়সময়। একজন নেতা অন্য দলের অন্য নেতাকে বা অন্যজনকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে, হাজার হাজার লোকের সামনে এক পক্ষ অন্য পক্ষকে অকথ্য ভাষায় কথা বলেন। এমনকি গালী পর্যন্ত দিয়ে থাকেন।
আজকে সারাদেশ জুড়ে শতাধিক রাজনৈতিক দলের আগমন ঘটেছে। এখানে সকল রাজনৈতিক দলের মাঝেই কর্মী সমর্থক নেতা রয়েছেন। আপনারা যে দল সমর্থন করেন। তাতে কারো কিছু সমস্যা নেই। তবে লবণের সাথে একটু নিজেদেরকে তাল মিলিয়ে নিবেন। লবণ যেমন তরকারিতে কম বা বেশি হলে তরকারির মজা স্বাদ কমে যায়।
তেমনি আপনারা রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী হয়ে যদি, চাদাবাজী শুরু করেন। চুরি,ডাকাতি, ছিনতাই বা কিশোরগ্যাং এর মত বিভিন্ন নেশায় আসক্ত হয়ে যান। তাহলে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, আপনাদের নেতাগীরি শেষ। রাজনীতি অঙ্গনে দীর্ঘদিন ঠিকে থাকা শেষ। একজন রাজনৈতিক দলের নেতাকে সবসময় কঠিন চরিত্রবান হতে হবে। সমাজের সকল মানুষের সাথে মিলেমিশে চলতে হবে। আচার -আচরণ হতে হবে সুন্দর । তাহলেই তিনি হবেন সমাজে দামি একজন মানুষ থেকে মহা মূল্যবান একজন নেতা । তখনই সবাই সেই নেতার কথা মানবেন। এবং চিরদিন জনগণ সেই গুণী নেতার আদর্শকে মনে রাখবেন।
রাজনীতি অঙ্গনে একজন নেতার কাছে প্রতিবেশিরা একটু সাহস চায়। একটু ন্যায় বিচার চায়। একটু সহযোগিতা চায়। এগুলো যে নেতার কাছে প্রতিবেশিরা পান । সেই নেতার কথা সবাই স্বরনে রাখেন। আর এটাই হচ্ছে একজন রাজনৈতিক নেতার আসল গুণ। বিশেষ করে ন্যায় বিচারে যে নেতা যত বেশি মানবিক। সেই নেতার সম্মান তত বেশি আমাদের এই সমাজে। সত্য ন্যায়ে আদর্শে সুন্দর হোক পরিবেশ, নতুন করে গড়ে তুমি আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ।।
অথই নূরুল আমিন,
কবি কলামিস্ট ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী।