আবিদ হাসান, রামপাল, বাগেরহাট
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ-এর রামপাল এরিয়া প্রোগ্রামের আওতায় পিএফএ ৫ শিশু ফোরামের উদ্যোগে এবং ৫টি গ্রামের ইম্প্যাক্ট প্লাস ক্লাবের সদস্য ও স্থানীয় যুব সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণে এক অনন্য সচেতনতামূলক আলোচনা সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
এই সেশনের মূল উদ্দেশ্য ছিল,,শিশুদের অধিকার সুরক্ষা, শিশু শ্রম প্রতিরোধ, মাদক ও নেশাজাত দ্রব্য থেকে দূরে রাখা এবং স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি।
আলোচনার প্রধান বিষয়সমূহ ছিল:
১.শিশু শ্রমের ভয়াবহতা ও সামাজিক প্রতিক্রিয়া
২.মাদক ও ধূমপানের কুফল এবং তরুণ সমাজে এর নেতিবাচক প্রভাব,
৩.করোনা ভাইরাস ও স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কিত সচেতনতা
৪.চলমান কার্যক্রমের অগ্রগতি এবং ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা ও নির্দেশনা
এই সেশনে এক উজ্জ্বল সাফল্যের ঘটনা তুলে ধরা হয়, যা সকলকে আশার আলো দেখায়।
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ-এর সহায়তায় রামপাল উপজেলা শিশু ফোরামের সক্রিয় প্রচেষ্টায় তিনজন শিশু, যারা বিভিন্ন কারণে বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়েছিল এবং শিশু শ্রমে জড়িত ছিল তাদেরকে শিশু শ্রম থেকে ফিরিয়ে এনে পুনরায় বিদ্যালয়ে ভর্তি করানো হয়েছে। সেশনে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয় এবং সকল অংশগ্রহণকারীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়, যা একটি দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ হিসেবে কাজ করে।
এছাড়াও আরও কিছু ঝরে পড়া শিশুকে বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ চলমান রয়েছে এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানানো হয়।
সেশনে “ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫” সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করা হয়। আইনটির মূল ধারাসমূহ, জনগণের করণীয়, কিশোর ও তরুণদের সচেতনতা বাড়ানো এবং পরিবার ও সমাজকে এই বিষয়ে আরও দায়িত্বশীল করে তোলার আহ্বান জানানো হয়। অংশগ্রহণকারীরা এই আইন সম্পর্কে জানার মাধ্যমে নিজেরা সচেতন হন এবং অন্যদের সচেতন করার অঙ্গীকার করেন।
সেশন পরিচালনায় যৌথভাবে নেতৃত্বে ছিলেন:
১|শারমিন আক্তার শেফা , সহ-সভাপতি, রামপাল উপজেলা শিশু ফোরাম; সভাপতি, পিএফএ ৫ শিশু ফোরাম (রামপাল এপি) এবং সভাপতি, বেতকাটা ইম্প্যাক্ট প্লাস ক্লাব।
তার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও সংগঠকসুলভ দক্ষতায় পুরো সেশনে শিশুদের নিরাপত্তা ও উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ বার্তা ফুটে ওঠে।
২|আবিদ হাসান আবির , সম্পাদক, রামপাল উপজেলা শিশু ফোরাম; যোগাযোগ ও উন্নয়ন এবং শিশু সুরক্ষা সম্পাদক, পিএফএ ৫ শিশু ফোরাম এবং সভাপতি, শ্রীকলস মানবকল্যাণী ইম্প্যাক্ট প্লাস ক্লাব।
তিনি সেশন পরিচালনায় বিশ্লেষণধর্মী ও উৎসাহব্যঞ্জক বক্তব্য রাখেন, যা শিশু, কিশোর ও যুবদের মাঝে ব্যাপক উদ্দীপনা সৃষ্টি করে।
এই সফল আয়োজন ও সুন্দর ব্যবস্থাপনার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর প্রিয় Paltan Biswas দাদা মিঠুন দাদা এবং প্রিতম দাদা-কে। তাঁদের উৎসাহ ও সৃজনশীল তত্ত্বাবধান ছাড়া এই সেশন সফলভাবে সম্পন্ন হতো না।
☆ এই আয়োজনটি প্রমাণ করে যদি শিশু ও যুবদের নিয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করা যায়, তবে সমাজ থেকে শিশু শ্রম, মাদক ও অজ্ঞতা দূর করা সম্ভব। আমাদের একটি শিশুও যেন ঝরে না পড়ে, কোনো শিশু যেন শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না হয়এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।