আজ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী।
এই মহান দিনে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে, আমরা স্মরণ করি এক অনন্য প্রতিভাকে — যিনি শুধু কবি নন, ছিলেন মানবতার এক দ্যুতিময় পথপ্রদর্শক।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর: সংক্ষিপ্ত জীবনী
জন্ম: ৭ মে ১৮৬১ | মৃত্যু: ৭ আগস্ট ১৯৪১
স্থান: জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি, কলকাতা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একজন বিশ্বকবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক, সঙ্গীতজ্ঞ ও শিক্ষাবিদ। তিনি বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বদরবারে উপস্থাপন করেছেন।
১৯১৩ সালে, “গীতাঞ্জলি” কাব্যের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন — যা ছিল একজন ভারতীয় তথা এশীয়ের প্রথম নোবেল প্রাপ্তি।
তিনি ভারতের জাতীয় সংগীত “জন গণ মন” এবং বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত “আমার সোনার বাংলা” রচয়িতা।
তাঁরই হাতে গড়ে উঠেছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় — শান্তিনিকেতনের বুকে, জ্ঞান ও মানবতার মিলনস্থলরূপে।
তিনি রচনা করেছেন প্রায় ২০০০+ গান, অসংখ্য কবিতা, গল্প, নাটক ও প্রবন্ধ। তাঁর সৃষ্টি আজও আমাদের পথ দেখায়।
কবিতা: “চিত্ত যেথা ভয়শূন্য”
(মূল ভাবানুবাদ সহ ব্যক্তিগত নিবেদন)
> চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির,
জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা গৃহের প্রাচীর
আপন প্রাঙ্গণতলে দিবসশর্বরী
বসুধারে রাখে নাই খণ্ড ক্ষুদ্র করি—
যেথা বাক্য হৃদয়ের উৎসমুখ হতে
উঠে অনবরত, যেথা তর্কশ্রবণেতে
বিচারের স্রোতে পায় নিত্য নূতন স্নান—
সেই চির উন্নত মানবপ্রাণ
রেখো জাগরিত, হে প্রভু —
আমার প্রাণেও, মাওলানা আজিজুর রহমান আল জলিলীর হৃদয়েও।
এই কবিতায় কবিগুরু এমন এক সমাজ ও ভবিষ্যতের কল্পনা করেছেন, যেখানে মানুষ থাকবে মুক্ত ও নির্ভয়, উচ্চচিন্তায় অনুপ্রাণিত —
সেই চেতনাই আজ আমাদের প্রেরণা।